১. মাথা কিংবা কাঁধের উপর কাপড় রেখে দু’ধারে সােজা নীচের দিকে ঝুলায়ে দেয়া ;
২. রুকূ হতে উঠে সিজদায় যাওয়ার সময় ধুলা-বালি লাগবার ভয়ে কাপড় টেনে সামলানাে ;
৩. মাথার উপরিভাগে খোঁপা বাঁধা ;
৪. আঙ্গুল ফুটানাে ;
৫. কাপড় বা শরীর নিয়ে খেলা করা ;
৬. ঘাড় ফিরায়ে বামে বা ডানে এমনভাবে তাকানাে যাতে নামাযীর মুখ কিবলার দিকে না থাকে। আর চোখে তাকালে যদি গর্দান না ফিরে তবে মাকরুহ হবে না ;
৭. পাথর সরানাে। তবে সিজদার স্থান হতে একবার সরাতে পারে ;
৮. কোমরে হাত রাখা ;
৯. শরীর মােচড়ানাে ;
১০. বিনা কারণে কুকুরের ন্যায় বসা ;
১১. পুরুষের সিজদার সময় দু’ হাত মাটিতে বিছায়ে দেয়া। স্ত্রীলােকের জন্য ইহা মাকরুহ নহে;
১২. ওযর ব্যতীত চার জানু হয়ে বসা ;
১৩. ইমাম মুক্তাদীকে ছেড়ে মিহরাবে গিয়ে দাঁড়ানাে ;
১৪. ইমাম একাকী কোন উঁচু বা নীচু স্থানে দাঁড়ানাে ;
১৫. কোন জীব-জন্তুর ছবি ডানে, বামে বা সামনে অথবা মাথার উপর রেখে নামায পড়া ;
১৬. নামাযের আদবকে অবহেলা করে খালি মাথায় নামায পড়া। কিন্তু নিজকে হেয় মনে করে খালি মাথায় নামায পড়লে দোষ নেই। নামাযকে হেয় মনে করে খালি মাথায় নামায পড়া কুফরী ;
১৭. ভালো কাপড় থাকতে এমন সাধারণ কাপড়ে নামায পড়া যা পরিধান করে বড় লােকের সমাজে যেতে লজ্জা বােধ করে ;
১৮. কপাল হতে মাটি মুছে ফেলা ;
১৯. আকাশের দিকে তাকানাে ;
২০ পাগড়ীর পেচের ভিতর সিজদা করা যাতে কপাল মাটিতে না লাগে ;
২১. কুরআন শরীফের আয়াত বা তসবীহের সংখ্যা আঙ্গুলে গণনা করা ;
২২. ছবিযুক্ত কাপড় পরিধান করে নামায পড়া ;
২৩. তকবীরে তাহরীমা দু’বার বলা। (মিফতাহুল জান্নাত)
২৪. যেখানে এরূপ আশংকা হয় যে, হয়তাে নামাযের মধ্যে কেউ হাসাৰে, মন এদিক-ওদিক চলে যাবে বা লােকের কথাবার্তায় নামাযে ভুল হয়ে যাবে এরূপ স্থানে নামায পড়া মকরূহ। -(রদুল মুহতার)
২৫. কেউ কথাবার্তা বলছে বা কোন কাজ করছে; তার পিঠের দিকে মুখ করে নামায পড়া মকরূহ নয়। কিন্তু অন্য জায়গা থাকলে এমন স্থানে নামায শুরু করা উচিত নয়। কারণ, হয়তাে তার উঠে যাওয়ার প্রয়ােজন হতে পারে এবং নামাযের জন্য যেতে না পারায় বিরক্তি বা কষ্ট অনুভব করতে পারে অথবা তার কোন ক্ষতি হতে পারে। আর হয়তাে সে জোরে কথাবার্তা শুরু করে দিতে পারে এবং এ জন্য নামাযে ভুল হতে পারে। কারাে মুখের দিকে মুখ করে নামায পড়া মকরূহ। (আলমগিরী)
২৬. ছবিওয়ালা জায়নামায রাখা মকরূহ এবং ঘরে কোন প্রাণীর ছবি রাখা কঠিন গগােনাহ। (অবশ্য যদি কোন পাক বিছানায় ছবি থাকে এবং এর উপর নামায পড়ে তবে নামায হয়ে যাবে। কিন্তু ছবির উপর সিজদা করবে না; বরং পা রাখবে। ছবির উপর সিজদা করলে নামায মকরূহ হবে।
২৭. প্রথম রাক’আত অপেক্ষা দ্বিতীয় রাক’আত লম্বা করা মকরূহ।—(তানবীর)
২৮. কোন নামাযের জন্য কোন সূরা এমনভাবে নির্দিষ্ট করে লওয়া যে, কখনাে সে সূরা ছাড়া অন্য সূরা পড়বে না ইহা মকরূহ।—(তানবীর)
২৯. পেশাব-পায়খানা (বা বায়ু) চেপে রেখে নামায পড়া মকরূহ।—(রদূল মুহতার)
৩০. বেশি ক্ষুধার সময় খানা তৈয়ার থাকলে খানা খেয়ে নামায পড়বে। নতুবা (খাওয়ার চিন্তায়) নামায মকরূহ হয়ে যাবে। অবশ্য নামাযের ওয়াক্ত চলে যাওয়ার মত হয় বা জাম’আত ছুটে যাওয়ার আশংকা হয় তবে নামায আগে পড়ে নিবে। (শরহে তানবীর
৩১. চোখ বন্ধ করে নামায পড়া ভাল নয়। কিন্তু যদি চোখ বন্ধ করে লইলে দিল ঠিক হয় তবে কোন দোষ নেই।—(তানবীর)
৩২. নামাযের মধ্যে (মশা, পিপড়া, উকুন বা) ছারপােকায় কামড়ালে এদেরকে মারা ভাল নয়। আস্তে আস্তে হাত দিয়ে তাড়ায়ে দিবে এবং না কামড়ালে হাত দিয়ে তাড়ানােও মকরূহ। (এসব মেরে মসজিদে ফেলা মকরূহ। যদি কষ্ট দেয় তবে মেরে বাইরে ফেলে দিবে)।
৩৩. ফরয নামাযে বিনা জরুরতে দেয়াল, খুঁটি বা অন্য কোন জিনিসের উপর ভর দিয়ে দাঁড়ানাে মাকরুহ।—(মুনিয়া)
৩৪. কোন কোন লােক এত তাড়াতাড়ি নামায পড়ে যে, সূরা খতম হওয়ার দু’এক শব্দ বাকী থাকতেই রুকূতে চলে যায় এবং ঐ অবস্থায় সূরা খতম হয়। এরূপ করা মকরূহ। –(মুনিয়া)
৩৫. পায়ের জায়গা হতে সিজদার জায়গা যদি আধ হাত অপেক্ষা উঁচু হয় তবে নামায দুরস্ত হবে না। যদি আধ হাত বা আধ হাতের চেয়ে কম উঁচু হয় তবে নামায হয়ে যাবে। কিন্তু বিনা জরুরতে এরূপ করা মকরূহ। -(মুনিয়া)
৩৬. টুপী বা পাগড়ী নামাযের মধ্যে মাথা হতে পড়ে গেলে তৎক্ষণাৎ এক হাত দিয়ে তা উঠায়ে মাথায় পরে লইয়াই ভাল। কিন্তু যদি একবারে বা এক হাতে উঠায়ে পরতে না পারে তবে উঠাবে না।—(দুররুল মুখতার)
৩৭. রুকু, সিজদা ইত্যাদি কোন কাজ ইমামের আগে আগে করা মুক্তাদীদের জন্য মকরূহ তাহরীমী।—(আলমগিরী)
৩৮. ইমামের কিরআত পড়ার সময় মুক্তাদীর দুআ-কালাম, সূরা ফাতিহা বা অন্য কোন সূরা পড়া মকরূহ তাহরীমী। (নীরবে ইমামের কির’আতের দিকে কান রাখা ওয়াজিব)। (দুররুল মুখতার)
৩৯. আগের কাতারে জায়গা থাকতে পিছনের কাতারে দাঁড়ানাে বা একা এক কাতারে দাঁড়ানাে মকরূহ। অবশ্য যদি আগের কাতারে জায়গা না থাকে তবে একা পিছনের কাতারে দাঁড়ালে মকরূহ হবে না।—(বেহেশতী জেওর)
Leave a Reply