لَقَدۡ جَآءَکُمۡ رَسُوۡلٌ مِّنۡ اَنۡفُسِکُمۡ عَزِیۡزٌ عَلَیۡہِ مَا عَنِتُّمۡ حَرِیۡصٌ عَلَیۡکُمۡ بِالۡمُؤۡمِنِیۡنَ رَءُوۡفٌ رَّحِیۡمٌ
فَاِنۡ تَوَلَّوۡا فَقُلۡ حَسۡبِیَ اللّٰہُ ۫٭ۖ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَ ؕ عَلَیۡہِ تَوَکَّلۡتُ وَ ہُوَ رَبُّ الۡعَرۡشِ الۡعَظِیۡمِ
(সুরা তাওবা : আয়াত ১২৮-১২৯ )
The benefits of laqad jakum are believed to provide the following:
- To be relieved from debts.
- To become rich.
- To be relieved of all your problems and become happy.
- To recover quickly from illness.
- To be protected from cheaters and deceitful people.
- The be protected from an early accidental death.
সুরা তওবা শেষ আয়াতের ফজিলত
لَقَدۡ جَآءَکُمۡ رَسُوۡلٌ مِّنۡ اَنۡفُسِکُمۡ عَزِیۡزٌ عَلَیۡہِ مَا عَنِتُّمۡ حَرِیۡصٌ عَلَیۡکُمۡ بِالۡمُؤۡمِنِیۡنَ رَءُوۡفٌ رَّحِیۡمٌ
৯:১২৮
নিশ্চয়ই তোমাদের নিজদের মধ্য থেকে তোমাদের নিকট একজন রাসূল এসেছেন, তা তার জন্য কষ্টদায়ক যা তোমাদেরকে পীড়া দেয়। তিনি তোমাদের কল্যাণকামী, মুমিনদের প্রতি স্নেহশীল, পরম দয়ালু। আল-বায়ান
তোমাদের মধ্য থেকেই তোমাদের নিকট একজন রসূল এসেছেন, তোমাদেরকে যা কিছু কষ্ট দেয় তা তার নিকট খুবই কষ্টদায়ক। সে তোমাদের কল্যাণকামী, মু’মিনদের প্রতি করুণাসিক্ত, বড়ই দয়ালু। তাইসিরুল
তোমাদের নিকট আগমন করেছে তোমাদেরই মধ্যকার এমন একজন রাসূল যার কাছে তোমাদের ক্ষতিকর বিষয় অতি কষ্টদায়ক মনে হয়, যে হচ্ছে তোমাদের খুবই হিতাকাংখী, মু’মিনদের প্রতি বড়ই স্নেহশীল, করুণাপরায়ণ। মুজিবুর রহমান
১২৮. অবশ্যই তোমাদের নিকট তোমাদের মধ্য হতেই একজন রাসূল এসেছেন, তোমাদের যে দুঃখ-কষ্ট হয়ে থাকে তা তার জন্য বড়ই বেদনাদায়ক। তিনি তোমাদের মঙ্গলকামী, মুমিনদের প্রতি তিনি করুণাশীল ও অতি দয়ালু।(১)
(১) এ আয়াতে আল্লাহ তা’আলা মুমিনদের উপর তার ইহসানের কিছু বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, তিনি তাদের মধ্যে তাদেরই সমগোত্রীয় এবং তাদেরই সমভাষার লোককে প্রেরণ করেছেন। [ইবন কাসীর] একথাটিই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে জাফর ইবন আবি তালিব নাজাসীর দরবারে বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আল্লাহ আমাদের মধ্যে আমাদেরই একজনকে রাসূলরুপে পাঠিয়েছেন যাকে আমরা চিনি, তার বংশ ও গুণাগুণ সম্পর্কেও আমরা অবহিত। তার ভিতর ও বাহির সম্পর্কে, সত্যবাদিতা, আমানতদারী সম্পর্কেও আমরা জ্ঞাত। [মুসনাদে আহমাদ ১/২০১] আরও বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকল সৃষ্টির উপর, বিশেষতঃ মুমিনদের উপর বড় দয়াবান ও স্নেহশীল। (তাফসীরে জাকারিয়া)
(১২৮) অবশ্যই তোমাদের নিকট আগমন করেছে তোমাদেরই মধ্যকার এমন একজন রসূল,[1] যার কাছে তোমাদের ক্ষতিকর বিষয় অতি কষ্টদায়ক মনে হয়,[2] যে তোমাদের খুবই হিতাকাঙ্ক্ষী,[3] বিশ্বাসীদের প্রতি বড়ই স্নেহশীল, করুণাপরায়ণ। [4]
[1] নবী (সাঃ)-কে প্রেরণ করে মুসলিমদের প্রতি যে বৃহৎ অনুগ্রহ করা হয়েছে, সূরার শেষে তারই আলোচনা করা হয়েছে। নবী (সাঃ)-এর প্রথম বৈশিষ্ট্য এই বর্ণনা করা হয়েছে যে, তিনি আমাদের মতই মানুষ। তিনি নূর বা অন্য কিছু নন; যেমন বিকৃত আকীদার শিকার কিছু মানুষ জনসাধারণকে এই শ্রেণীর গোলক-ধাঁধায় ফেলে থাকে।
[2] عنت এমন বস্তুকে বলা হয় যার দ্বারা মানুষ কষ্ট পায়, ইহলৌকিক দুঃখ-কষ্ট এবং পারলৌকিক শাস্তি উভয়ই এর অন্তর্ভুক্ত। নবী (সাঃ)-এর দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য এই যে, তাঁর পক্ষে আমাদের যাবতীয় দুঃখ-কষ্ট দুঃসহ। তাঁর দ্বীনও সহজ। নবী (সাঃ) বলেছেন, ‘‘আমাকে সহজ ও সরল একনিষ্ঠ দ্বীন দিয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।’’ (মুসনাদে আহমাদ) অন্য এক হাদীসে বলেন, ‘‘নিশ্চয় এই দ্বীন সহজ।’’ (সহীহ বুখারী)
[3] নবী (সাঃ)-এর তৃতীয় বৈশিষ্ট্য এই যে, তিনি আমাদের হিদায়াত এবং আমাদের ইহ-পরকালের কল্যাণ কামনা করেন এবং আমাদের জাহান্নামী হওয়াকে অপছন্দ করেন। এই জন্যই নবী (সাঃ) বলেছেন, ‘‘আমি তোমাদেরকে তোমাদের কোমর ধরে টানি, কিন্তু তোমরা আমার হাত ছাড়িয়ে জবরদস্তির সাথে জাহান্নামে প্রবেশ কর।’’ (বুখারী)
[4] এটা নবী (সাঃ)-এর চতুর্থ বৈশিষ্ট্য। এই সমস্ত উত্তম আচরণ তাঁর সর্বোচ্চ চরিত্র এবং মহান গুণের বহিঃপ্রকাশ। নিশ্চয় তিনি মহান চরিত্রের অধিকারী। সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম। (তাফসীরে আহসানুল বায়ান)
فَاِنۡ تَوَلَّوۡا فَقُلۡ حَسۡبِیَ اللّٰہُ ۫٭ۖ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَ ؕ عَلَیۡہِ تَوَکَّلۡتُ وَ ہُوَ رَبُّ الۡعَرۡشِ الۡعَظِیۡمِ
৯:১২৯
অতঃপর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে বল, ‘আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। আমি তাঁরই উপর তাওয়াক্কুল করেছি। আর তিনিই মহাআরশের রব’। আল-বায়ান
এ সত্ত্বেও যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে বলে দাও- আল্লাহ্ই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, তাঁর উপরই আমি ভরসা করি, তিনি হলেন মহান আরশের মালিক। তাইসিরুল
অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে তুমি বলে দাওঃ আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ছাড়া অন্য কেহ মা‘বূদ নেই, আমি তাঁরই উপর নির্ভর করছি, আর তিনি হচ্ছেন অতি বড় আরশের মালিক। মুজিবুর রহমান
১২৯. অতঃপর তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে আপনি বলুন, ‘আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ছাড়া কোন সত্য ইলাহ নেই(১)। আমি তারই উপর নির্ভর করি এবং তিনি মহাআরশের(২) রব।
(১) অর্থাৎ আপনার যাবতীয় চেষ্টা-তদবীরের পরও যদি কিছু লোক ঈমান গ্রহণে বিরত থাকে, তবে ধৈর্য ধরুন এবং আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন। কারণ নবীগনের সমস্ত কাজ হল স্নেহ-মমতা ও হামদর্দির সাথে আল্লাহর পথে মানুষকে ডাকা, তাদের পক্ষ থেকে অবজ্ঞা ও যাতনার সম্মুখীন হলে, তা আল্লাহর প্রতি সোপর্দ করা এবং তাঁরই উপর ভরসা রাখা। (তাফসীরে জাকারিয়া)
(১২৯) অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়,[1] তবে তুমি বলে দাও, ‘আমার জন্য তো আল্লাহই যথেষ্ট।[2] তিনি ছাড়া অন্য কোন (সত্য) উপাস্য নেই। আমি তাঁরই উপর নির্ভর করেছি, আর তিনি হচ্ছেন অতি বড় আরশের মালিক।’ [3]
[1] অর্থাৎ, তোমার নিয়ে আসা শরীয়ত ও রহমতের দ্বীন থেকে।
[2] যিনি আমাকে কাফের ও অস্বীকারকারীদের চক্রান্ত থেকে বাঁচিয়ে নেবেন।
[3] প্রকাশ থাকে যে, এই আয়াত পড়লে আল্লাহ সকল দুশ্চিন্তা ও সমস্যার জন্য যথেষ্ট হন– এ হাদীসটি জাল। (তাফসীরে আহসানুল বায়ান)
Kibria says
ধন্যবাদ
মে মজনুর রহমান says
জাকারিয়া সাহেবের তাফসীর এবং মওলানা মওদুদ আহমেদ ( রহমাহুল্লাহ) এর তাফসির হুবহু মিল রয়েছে, তাহলে আপনারা কেন তাফসীরে মওদুদ আহমেদের কথা বলেন না?