Contents
❒ জোহরের পূর্বমুহূর্তে:
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “নিশ্চই আসমানের দুয়ারসমূহ খুলে দেওয়া হয় সূর্য মধ্যাকাশ থেকে পশ্চিমাকাশের দিকে হেলে পড়ার সময়। এরপর যোহরের সালাত পর্যন্ত তা আর বন্ধ হয় না। আমি চাই সেই সময়ে আমার কোন ভালো কাজ ওপরে উঠুক।” [সহীহুল জামি, ১৫৩২]
❒ আযানের সময়:
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “যখন আযান দেওয়া হয় আমানের দুয়ার সময় খুলে দেওয়া হয় এবং দু’আ কবুল করা হয়।” [সহীহুত ত্বারগীব, ২৬০]
❒ এক নামাজের পর অন্য নামাজের জন্য অপেক্ষার সময়:
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “শুভ সংবাদ! তোমাদের রব আসমানের দুয়ার খুলে দিয়েছেন এবং তোমাদের নিয়ে ফেরেশতাদের সাথে গর্ব করে বলছেন-‘আমার বান্দাগন আমার আরোপিত ফরজ (নামাজ) আদায়ের পর আরেক ফরজের জন্য অপেক্ষা করছে।” [ইবনে মাজাহ, ৮০১]
❒ রাতের শেষার্ধে:
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “রাতের শেষার্ধ শুরু হলে একজন ঘোষক ঘোষণা দিতে থাকেন, কেউ কি কোন আর্জী পেশ করার আছো? তার আর্জি গৃহীত হবে। কারো যাচ্ঞা করার কিছু আছে? তা মঞ্জুর হবে। আছে কোন বিপদগ্রস্থ? তার বিপদ দুর করা হবে। তখন পেশাদার ব্যভিচারীনী এবং ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজী করা লোক ব্যতিত কোন মুসলিমের দু’আই ব্যর্থ হয় না।” [সহূহুত ত্বারগীব, ৭৮৬]
❒ এই দুআ পাঠের সময়:
একদিন আমরা রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে নামায পড়ছিলাম। সে সময় সমাগত লোকদের মাঝে হতে এক লোক বলল,
اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا وَسُبْحَانَ اللَّهِ بُكْرَةً وَأَصِيلاً
‘আল্লাহু আকবার কাবীরা, ওয়াল হামদু লিল্লাহি কাছীরা ওয়া সুবহানাল্লাহি বুকরাতান ওয়া আসীলা’
যার অর্থ, আল্লাহ মহান, অতি মহান, আল্লাহ তা’আলার জন্য অনেক অনেক প্রশংসা এবং সকাল-সন্ধ্যা আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি।
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এই এই কথা কে বলেছে? উপস্থিত লোকদের মাঝে এক লোক বলল, আমি হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেনঃ এ দু’আয় আমি খুব আশ্চর্যান্বিত হয়েছি। এ বাক্যগুলোর জন্য আকাশের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। ইবনু উমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে আমি এ কথা শুনার পর থেকে কখনো তা পাঠ করা পরিহার করিনি। [মুসলিম, তিরমিজী ৩৯৪১]
২য় হাদিস:
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ قَامَ رَجُلٌ خَلْفَ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا وَسُبْحَانَ اللَّهِ بُكْرَةً وَأَصِيلاً . فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” مَنْ صَاحِبُ الْكَلِمَةِ ” فَقَالَ رَجُلٌ أَنَا يَا نَبِيَّ اللَّهِ . فَقَالَ ” لَقَدِ ابْتَدَرَهَا اثْنَا عَشَرَ مَلَكًا ”
আব্দুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পেছনে বললঃ আল্লাহু আকবার কাবিরান, ওয়ালহামদু লিল্লাহে কাসিরান ওয়াও সুবহানা আল্লাহী বুকরাতান ওয়াও আসিলান, তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কে এ কলেমা বলেছে? ঐ ব্যক্তি বলল- আমি, ইয়া নাবী আল্লাহ! তখন তিনি বললেন- বারোজন ফেরেশতা এ কলেমা তাড়াতাড়ি করে তুলে নিলেন।
সহিহ, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ১২৪৬ [ সূনানে নাসাঈ – ৮৮৫ ]
আল্লাহ তাআলা আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন।
লেখাঃ ড. সাঈদ (আল্লাহ্ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন)
Leave a Reply