Contents
أَعُوْذُ بِاللّٰهِ مِنَ الشَّيْطٰانِ الرَّجِيْمِ
بسم الله الرحمن الرحيم
رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ العَلِيمُ
Rabbana taqabbal minna innaka antas Sameeaul Aleem
Our Lord! Accept (this service) from us: For Thou art the All-Hearing, the All-knowing.
‘হে আমাদের রব, আমাদের পক্ষ থেকে কবূল করুন। নিশ্চয় আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী’।
Surah Al-Baqarah – 2:127
(১) এখানে লক্ষণীয় যে, ইবরাহীম আলাইহিস সালাম رب শব্দ দ্বারা দোআ আরম্ভ করেছেন। তিনি এই শব্দের মাধ্যমে দো’আ করার রীতি শিক্ষা দিয়েছেন। কারণ এ জাতীয় শব্দ আল্লাহর রহমত ও কৃপা আকৃষ্ট করার ব্যাপারে খুবই কার্যকর ও সহায়ক। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, “ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ইসমাঈলকে বললেন, হে ইসমাঈল। আল্লাহ আমাকে একটি কাজের নির্দেশ দিয়েছেন। ইসমাঈল বললেন, আপনার রব আপনাকে যা নির্দেশ করেছেন তা বাস্তবায়িত করুন। ইবরাহীম বললেন, তুমি কি আমাকে সাহায্য করবে? ইসমাঈল বললেন, আমি আপনাকে সাহায্য করব। ইবরাহীম পাশের একটি উঁচু জায়গা দেখিয়ে বললেন, আল্লাহ আমাকে এখানে একটি ঘর বানাতে নির্দেশ দিয়েছেন। ইবনে আব্বাস বলেন, তারপর তারা দু’জনে ঘরের ভিত্তি স্থাপন করে তা উঁচু করছিলেন। ইসমাঈল পাথর নিয়ে আসতেন আর ইবরাহীম ঘর বানাতেন। তারপর যখন ঘর উঁচু হয়ে গেল তখন ইসমাঈল এ পাথরটি এনে ইবরাহীমের পায়ের নীচে রাখলেন। তখন ইবরাহীম তাতে দাঁড়িয়ে ঘর বানাতে থাকলেন। এমতাবস্থায় তাদের মুখ থেকে এ দোআ বের হচ্ছিল।” [বুখারী ৩৬৬৪]
(২) ইবরাহীম আলাইহিস সালাম আল্লাহ্র নির্দেশে সিরিয়ার সুজলা-সুফলা সুদর্শন ভূ-খণ্ড ছেড়ে মক্কার বিশুস্ক পাহাড়সমূহের মাঝখানে স্বীয় পরিবার-পরিজনকে এনে রাখেন এবং কা’বা গৃহের নির্মাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করেন। এরূপ ক্ষেত্রে অন্য কোন আত্মত্যাগী ইবাদতকারীর অন্তরে অহংকার দানা বাধতে পারত এবং সে তার ক্রিয়াকর্মকে অনেক মূল্যবান মনে করতে পারত। কিন্তু এখানে ছিলেন আল্লাহর এমন একজন বন্ধু যিনি আল্লাহর প্রতাপ এবং মহিমা সম্পর্কে যথার্থভাবে অবহিত। তিনি জানতেন, আল্লাহর উপযুক্ত ইবাদাত ও আনুগত্য কোন মানুষের পক্ষেই সম্ভব নয়। প্রত্যেকেই নিজ নিজ শক্তি-সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করে। তাই আমল যত বড়ই হোক সেজন্য অহংকার না করে কেঁদে কেঁদে এমনি দোআ করা প্রয়োজন যে, হে আমার রব! আমার এ আমল কবুল হোক। কা’বা গৃহ নির্মাণের আমল প্রসংগে ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তাই বলেছেন, (رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا) হে রব! আমাদের এ আমল কবুল করুন। কেননা, আপনি শ্রোতা, আপনি সর্বজ্ঞ। [মা’আরিফুল কুরআন]
(৩) সন্তানের প্রতি স্নেহ ও মমতা শুধু একটি স্বাভাবিক ও সহজাত বৃত্তিই নয়; বরং এ ব্যাপারে আল্লাহ তা’আলারও নির্দেশ রয়েছে। উল্লেখিত আয়াতসমূহ এর প্রমাণ। তিনি সন্তানদের দুনিয়া ও আখেরাতের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য আল্লাহর কাছে দোআ করেছেন।
رَبَّنَا وَاجْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَكَ وَمِن ذُرِّيَّتِنَا أُمَّةً مُّسْلِمَةً لَّكَ وَأَرِنَا مَنَاسِكَنَا وَتُبْ عَلَيْنَآ إِنَّكَ أَنتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ
Rabbana wa-j’alna Muslimayni laka wa min Dhurriyatina ‘Ummatan Muslimatan laka wa ‘Arina Manasikana wa tub ‘alayna ‘innaka ‘antat-Tawwabu-Raheem
Our Lord! Make of us Muslims, bowing to Thy (Will), and of our progeny, a people Muslim, bowing to Thy (will); and show us our place for the celebration of (due) rites; and turn unto us (in Mercy); for Thou art the Oft-Returning, Most Merciful.
‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে আপনার অনুগত করুন এবং আমাদের বংশধরের মধ্য থেকে আপনার অনুগত জাতি বানান। আর আমাদেরকে আমাদের ইবাদাতের বিধি-বিধান দেখিয়ে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’।
Surah Al-Baqarah – 2:128
رَبَّنَآ اٰتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّفِي الْاٰخِرَةِ حَسَـنَةً وَّقِنَا عَذَابَ النَّارِ
Rabbanaaa Aatinaa Fiddunyaa H’asanata Wa Fil Aakhirati H’asanata Wa Qinaa A’d’aaban Naar
Our Lord! Give us in this world that which is good and in the Hereafter that which is good, and save us from the torment of the Fire!
হে আমাদের রব, আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দিন। আর আখিরাতেও কল্যাণ দিন এবং আমাদেরকে আগুনের আযাব থেকে রক্ষা করুন।
Surah Al-Baqarah – 2:201
আবদুল্লাহ ইবনে সায়েব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কাবার দুই রুকনের মাঝখানে এ দোআ বলতে শুনেছি। [আবু দাউদ: ১৮৯২] আনাস ইবনে মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রায়ই এ দো’আ করতেন। [বুখারী ৪৫২২, মুসলিম: ২৬৯০]
ঈমানদাররা দুনিয়াতেও দুনিয়া চায় না, বরং নেকীর কাজের তাওফীক কামনা করে। নবী করীম (সাঃ) খুব বেশী বেশী এই দুআটি পড়তেন। তাওয়াফ করাকালীন অনেক লোকে প্রত্যেক চক্করে পৃথক পৃথক দুআ পড়ে থাকে, যা মনগড়া দু আ। এই দুআগুলোর পরিবর্তে তাওয়াফের সময় রুকনে ইয়ামানী এবং হাজরে আসওয়াদের মধ্যবর্তী স্থানে ‘রাব্বানা আ-তিনা ফিদ্দুনয়া হাসানাহ— পড়া সুন্নত।
আলোচ্য আয়াতে ‘ইহকালের কল্যাণ’-এর তাৎপর্যে একাধিক তফসীর বর্ণিত হয়েছে; যেমনঃ পুণ্যময়ী স্ত্রী, ইবাদত, ইলম ও ইবাদত, মাল-ধন, নিরাপত্তা, প্রশস্ত রুযী, নেয়ামত বা সম্পদ ইত্যাদি। সুতরাং এর অর্থ ব্যাপক রাখাই বাঞ্ছনীয়। পক্ষান্তরে পরকালের সাথে ইহকালের সুখ-শান্তি চাওয়াও দোষাবহ নয়। আসলে কিছু লোক কেবল ইহকালের সুখই কামনা করে; কিন্তু মুসলিম কামনা করে ইহ-পরকাল উভয়ের সুখ।
رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْراً وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانصُرْنَا عَلَى القَوْمِ الكَافِرِينَ
Rabbana afrigh ‘alayna sabran wa thabbit aqdamana wansurna ‘alal-qawmil-kafirin
Our Lord! Bestow on us endurance, make our foothold sure, and give us help against the disbelieving folk.
‘হে আমাদের রব, আমাদের উপর ধৈর্য ঢেলে দিন, আমাদের পা স্থির রাখুন এবং আমাদেরকে কাফের জাতির বিরুদ্ধে সাহায্য করুন’।
Al-Baqarah – 2:250
তারা যখন (যুদ্ধার্থে) জালূত ও তার সৈন্যবাহিনীর সম্মুখীন হল, তখন বলল, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ধৈর্য দান কর, আমাদেরকে অবিচলিত রাখ এবং অবিশ্বাসী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য দান কর।’
জালূত সেই শত্রুদলের সেনাপতি ও দলনেতা ছিল, যাদের সাথে ত্বালূত ও তাঁর সঙ্গীদের সংঘর্ষ ছিল। এরা ছিল আমালেক্বা জাতি। সেই সময়ে এই জাতি বড় দুর্ধর্ষ যুদ্ধ-বিশারদ এবং বীর নামে প্রসিদ্ধ ছিল। তাদের এই প্রসিদ্ধির কারণে ঠিক যুদ্ধের সময় ঈমানদারগণ আল্লাহর নিকট ধৈর্য ও সুদৃঢ় থাকার তওফীক চেয়ে এবং কুফরীর মোকাবেলায় ঈমানের সফলতার জন্য দু’আ করেন। অর্থাৎ, (যুদ্ধের) পার্থিব উপকরণাদি গ্রহণ করার সাথে সাথে ঈমানদারদের জন্য অত্যাবশ্যক হল, এ রকম পরিস্থিতিতে আল্লাহর নিকট বিশেষভাবে প্রার্থনা করা। যেমন, বদরের যুদ্ধে নবী করীম (সাঃ) অত্যধিক কাকুতি-মিনতির সাথে বিজয় ও সাহায্য চেয়ে দু’আ করেছিলেন। মহান আল্লাহ তাঁর সে দু’আ কবুল করেছিলেন। ফলে অতীব অল্প সংখ্যক মুসলিম দল অধিক সংখ্যক কাফের দলের উপর জয় লাভ করেছিল।
رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَآ اِنْ نَّسِيْنَآ اَوْ اَخْطَاْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَآ اِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهٗ عَلَي الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهٖ ۚ وَاعْفُ عَنَّا ۪ وَاغْفِرْ لَنَا ۪ وَارْحَمْنَا ۪ اَنْتَ مَوْلٰىنَا فَانْــصُرْنَا عَلَي الْقَوْمِ الْكٰفِرِيْنَ
Rabbanaa Laa Too-Akhid’naaa In-Naseenaa Aw Akht’aanaa Rabbanaa wa Laa Tah’mil A’laynaaa Is’ran Kamaa Ha’maltahoo A’lal Lad’eena min Qablinaa Rabbanaa wa Laa Tuh’ammilnaa Maa Laa T’aaqata Lanaa Bih Wa’-Fu A’nnaa Waghfirlanaa Warh’amnaa Anta Mawlaanaa Fans’urnaa A’lal Qawmil Kaafireen
Allah burdens not a person beyond his scope. He gets reward for that (good) which he has earned, and he is punished for that (evil) which he has earned. “Our Lord! Punish us not if we forget or fall into error, our Lord! Lay not on us a burden like that which You did lay on those before us; our Lord! Put not on us a burden greater than we have strength to bear. Pardon us and grant us Forgiveness. Have mercy on us. You are our Maula (Patron, Supporter and Protector, etc.) and give us victory over the disbelieving people.”
Surah Al-Baqarah – 2:286
رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوْبَنَا بَعْدَ اِذْ ھَدَيْتَنَا وَھَبْ لَنَا مِنْ لَّدُنْكَ رَحْمَةً ۚ اِنَّكَ اَنْتَ الْوَھَّابُ
Rabbanaa Laa Tuzigh Quloobanaa Ba’-Da Id’hadaytanaa Wa Hab Lanaa Mil Ladunka Rah’mah Innaka Antal Wahaab
Our Lord! Let not our hearts deviate (from the truth) after You have guided us, and grant us mercy from You. Truly, You are the Bestower.
Surah Al-Imran – 3:8
رَبَّنَا إِنَّكَ جَامِعُ النَّاسِ لِيَوْمٍ لاَّ رَيْبَ فِيهِ إِنَّ اللّهَ لاَ يُخْلِفُ الْمِيعَادَ
Rabbana innaka jami’unnasi li-Yawmil la rayba fi innAllaha la yukhliful mi’aad
Our Lord, surely You will gather the people for a Day about which there is no doubt. Indeed, Allah does not fail in His promise.
Surah Al-Imran – 3:9
رَبَّنَآ اِنَّنَآ اٰمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
Rabbana innana amanna faghfir lana dhunuubana wa qinna ‘adhaban-Naar
Our Lord! We have indeed believed, so forgive us our sins and save us from the punishment of the Fire.
Surah Al-Imran – 3:16
رَبَّنَا آمَنَّا بِمَا أَنزَلَتْ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُولَ فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَِ
Rabbana amanna bima anzalta wattaba ‘nar-Rusula fak-tubna ma’ash-Shahideen
Our Lord! We believe in what Thou hast revealed, and we follow the Messenger. Then write us down among those who bear witness.
Surah Al-Imran – 3:53
رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَ اِسْرَافَنَا فِيْٓ اَمْرِنَا وَثَبِّتْ اَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَي الْقَوْمِ الْكٰفِرِيْنَ
Rabbanaghfir lanaa d’unoobanaa wa israafanaa fee amrinaa wa thabbit aqdaamanaa wan s’urnaa a’lal qawmil kaafireen
Our Lord! Forgive us our sins and our transgressions (in keeping our duties to You), establish our feet firmly, and give us victory over the disbelieving folk.
Surah Al-Imran – 3:147
رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هٰذَا بَاطِلًا ۚ سُبْحٰنَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ. رَبَّنَآ اِنَّكَ مَنْ تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ اَخْزَيْتَهٗ ۭ وَمَا لِلظّٰلِمِيْنَ مِنْ اَنْصَارٍ. رَبَّنَآ اِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُّنَادِيْ لِلْاِيْمَانِ اَنْ اٰمِنُوْا بِرَبِّكُمْ فَاٰمَنَّا ۚ رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّاٰتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْاَبْرَارِ. رَبَّنَا وَاٰتِنَا مَا وَعَدْتَّنَا عَلٰي رُسُلِكَ وَلَا تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيٰمَةِ ۭاِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيْعَادَ.
Rabbana ma khalaqta hadha batila Subhanaka faqina ‘adhaban-Naar. Rabbana innaka man tudkhilin nara faqad akhzaytah wa ma liDh-dhalimeena min ansar. Rabbanaa Innanaa Sami’-Naa Munaadiyay Yunaadee Lil – Eemaani An Aaminoo Birabbikum Fa- Aamannaa Rabbanaa Faghfir Lanaa D’unoobanaa Wa Kaffir A’nnaaa Sayyi- Aatinaa Wa Tawaffanaa Ma-A’l Abraaar. Rabbanaa Wa Aatinaa Maa Wa-A’ttanaa A’laa Rusulika Wa Laa Tukhzinaa Yawal Qiyaamah Innak Laa Tukhliful Mee’a’ad.
Our Lord! You have not created (all) this without purpose, glory to You! (Exalted be You above all that they associate with You as partners). Give us salvation from the torment of the Fire. *Our Lord! Verily, whom You admit to the Fire, indeed, You have disgraced him, and never will the Zaalimoon (polytheists and wrong-doers) find any helpers. *Our Lord! Verily, we have heard the call of one (Muhammad p.b.u.h.) calling to Faith: ‘Believe in your Lord,’ and we have believed. *Our Lord! Forgive us our sins and remit from us our evil deeds, and make us die in the state of righteousness along with Al-Abraar (those who are obedient to Allah and follow strictly His Orders). *Our Lord! Grant us what You promised unto us through Your Messengers and disgrace us not on the Day of Resurrection, for You never break (Your) Promise.
Surah Al-Imran 191-194
رَبَّنَا آمَنَّا فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ
Rabbana aamana faktubna ma’ ash-shahideen
Our Lord! We believe; write us down among the witnesses.
Surah Al-Ma’ida – 5:83
رَبَّنَا أَنزِلْ عَلَيْنَا مَآئِدَةً مِّنَ السَّمَاء تَكُونُ لَنَا عِيداً لِّأَوَّلِنَا وَآخِرِنَا وَآيَةً مِّنكَ وَارْزُقْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ
Rabbana anzil ‘alayna ma’idatam minas-Samai tuknu lana ‘idal li-awwa-lina wa aakhirna wa ayatam-minka war-zuqna wa anta Khayrul-Raziqeen
O Allah our Lord! Send us from heaven a table set (with viands), that there may be for us – for the first and the last of us – a solemn festival and a sign from thee; and provide for our sustenance, for thou art the best Sustainer (of our needs).
Surah Al-Ma’ida – 5:114
رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ
Rabbana zalamna anfusina wa il lam taghfir lana wa tarhamna lana kunan minal-khasireen
Our Lord! We have wronged our own souls: If thou forgive us not and bestow not upon us Thy Mercy, we shall certainly be lost.
Surah Al-A’raf – 7:23
رَبَّنَا لاَ تَجْعَلْنَا مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
Rabbanaa Laa Taj-a’lnaa Ma – A’l Qawmiz’ Z’aalimeen
Our Lord! Place us not with the people who are Zaalimoon (polytheists and wrong doers).
Surah Al-A’raf – 7:47
رَبَّنَا افْتَحْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمِنَا بِالْحَقِّ وَأَنتَ خَيْرُ الْفَاتِحِينَ
Rabbanaf-tah baynana wa bayna qawmina bil haqqi wa anta Khayrul Fatiheen
Our Lord! Decide Thou between us and our people in truth, for Thou art the best to decide.
Surah Al-A’raf – 7:89
رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَتَوَفَّنَا مُسْلِمِينَ
Rabbana afrigh ‘alayna sabraw wa tawaffana Muslimeen
Our Lord! pour out on us patience, and cause us to die as Muslims.
Surah Al-A’raf – 7:126
عَلَى اللَّهِ تَوَكَّلْنَا رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِلْقَوْمِ الظَّالِمِينَ وَنَجِّنَا بِرَحْمَتِكَ مِنَ الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
Alal Allahi thawakkalna rabbana la taj’alna fitnatal lil-qawmidh-Dhalimeen. Wa najjina bi-Rahmatika minal qawmil kafireen.
Upon Allah do we rely. Our Lord, make us not [objects of] trial for the wrongdoing people. And save us by Your mercy from the disbelieving people.
Surah Yunus – 10:85-86
رَبَّنَا إِنَّكَ تَعْلَمُ مَا نُخْفِي وَمَا نُعْلِنُ وَمَا يَخْفَى عَلَى اللّهِ مِن شَيْءٍ فَي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاء
Rabbana innaka ta’lamu ma nukhfi wa ma nu’lin wa ma yakhfa ‘alal-lahi min shay’in fil-ardi wa la fis-Sama’
O our Lord! Truly Thou dost know what we conceal and what we reveal: for nothing whatever is hidden from Allah, whether on earth or in heaven
Surah Ibraheem – 38
رَبِّ اجْعَلْنِيْ مُقِيْمَ الصَّلٰوةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِيْ رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاۗءِ
Rabbij-A’lnee Muqeemas’ S’alaati Wa Min D’urrriyyatee Rabbanaa Wa Taqabbal Du-A’aa
O, my Lord! Make me one who performs As-Salaat (Iqaamat-as-Salaat), and (also) from my offspring, our Lord! And accept my invocation.
Surah Ibraheem – 14:40
Leave a Reply